হিমেল খন্দকার, বিডি দিগন্ত || ওষুধিগুণ সম্পুর্ণ লটকন ফলের যত উপকারিতা ও চাষ পদ্ধতি।
নানান ফলের সমাহারে পুষ্টিকর লটকনের গুণের কথা অনেকেরই অজানা। এই ফলটিতে খাদ্যশক্তিসহ রয়েছে খনিজ উপাদান।
লটকনের ওষুধিগুণ:
১. অম্লমধুর ফল লটকন।
২. খাদ্যমানের সমৃদ্ধও লটকন।
৩. লটকন ফল খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ও নিবারন হয়।
৪. লটকন গাছের শুকনো পাতা গুঁড়ো করে খেলে ডায়রিয়া ও মানসিক চাপ কমায়।
লটকন চাষের উপযুক্ত স্থান:
১. দেশের প্রায় সব ধরণের মাটিতেই লটকন চাষ করা যায়।
২. লটকন চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
৩. লটকন চাষের জন্য নির্বাচন উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি বা উন্মুক্ত জমিতে আংশিক চাষ করা যায়।
লটকনের চারা রোপণের সময়কাল
১. চারা রোপণের উপযুক্ত সময় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস।
২. তাছাড়া বর্ষার শেষে দিকে অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন মাসে চারা রোপন করা যায়।
চারা রোপণের দুরত্ব:
১. এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব ০:৬ মিটার।
২. চারা থেকে আরেক চারার দূরত্ব ০:৬ মিটার
চারার জন্য উপযুক্ত গর্ত তৈরি:
১. প্রতিটি গর্তের আকার হবে ১. ৯০ সেমি। ১০-১৫ দিন পরে প্রতি গর্তের নিম্নরূপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে তারপর মাটির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরে দিতে হবে। প্রতিটি গর্তে ১৫-২০ কেজি জৈব সার, ৫০০ গ্রামের টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
২. গর্ত ভরার সময় মাটি শুকনা হলে পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
দুলালী সুন্দরী ধান চাষে আজির উদ্দিনের সাফল্য
পাবনায় চাষ হচ্ছে পেরিলা
স্বাদ ও মানের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত সবজি নরসিংদীর সবজি
লটকনের চারা রোপণ ও পরিচর্যা:
১. সাধারণত বীজ দিয়ে লটকনের প্রজনন বিস্তার করা যায়।
২. জমিতে বর্গাকার বা আয়তাকার পদ্ধতিতে লটকনের চারা লাগানো যায়।
৩. গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর নির্বাচিত চারা গর্তের মাঝখানে সোজাসোজি লাগিয়ে মাটি চারপাশে চেপে দিতে হবে।
৪. চারা রোপনের পর পর পানি দিতে হবে।
৫. প্রতি চারার ১-২ দিন অন্তর পানি দিতে হবে।
৬. প্রয়োজন মতো খুঁটি বা বেড়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
পূর্ণবয়স্ক গাছের সার প্রয়োগ এর নিম্নরূপ:
সারের নাম ও পরিমাণ : পূর্ণবয়স্ক গাছে ১০-২০
কেজি গোবর বা জৈব, ১ কেজি ইউরিয়া, ০.৫ কেজি টিএসপি, ০.৫ কেজি অথবা, এক সাথে সার প্রয়োগ করলে তা নিম্নহারে প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ দেওয়ার পদ্ধতি:
১. প্রথমত চারা রোপনের পর পর সেচ দিতে হবে।
২. ফল আসার পর পর দু’একটা সেচ দিতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লটকল গাছের ডাল ছাঁটাই পদ্ধতি:
লটকল গাছের মরা ডাল বা রোগাক্রান্ত ও কীটাক্রান্ত ডাল গুলো কেটে দিতে হবে।
লটকলের ফল সংগ্রহ:
সাধারণত শীতের শেষে লটকন গাছে ফুল আসে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে ফল পাকে এবং এ ২ মাসে ফল সংগ্রহ করা হয়।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিমেল/বিডি দিগন্ত