সুজন বর্মণ, বিডি দিগন্ত: দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘন্টা পর পুলিশের অবরোদ্ধ থেকে মুক্ত হলেন বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব খোকন ও নেতাকর্মীরা। বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার নিশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরনের দাবীতে সমাবেশ চলাকালে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন সহ দলীয় নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে থেকে রাত পৌনে ১০টা পযর্ন্ত তাদের অবরোদ্ধ করে রাখে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টা অবরোদ্ধ থাকার পর খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে বের হয়ে যায়। পরে নেতাকর্মীরা যার যার মতো বের হয়ে যায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় , নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের গেইটের সামনে ও চার পাশে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে । অন্যদিকে কার্যালয়ের ভেতর কর্মীরা দাড়িয়ে আছেন। নেতাকর্মীরা বের হলেই তাদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। একজনকে আটক করতেও দেখা গেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে কোন নেতাকমীরাই বের হচ্ছে না।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায় , সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরনের দাবীতে নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চিনিশপুর কার্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের শেষ মুহুর্ত্তে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নেতাকর্মীরা বের হতে গেলেই গন-গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। পরে বিএনপির মূল ফটকের সামনে পুলিশ অবন্থান নেয়। পরে চারপাশ ঘেরাও করে রাখে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টা কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অবরোধ হয়ে থাকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন সহ দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে রাত পৌনে দশটায় খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে বের হয়ে যায়। পরে নেতাকর্মীরা যার যার মতো বের হয়ে যায়।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন অভিযোগ করে বলেন, শান্তি পূর্ন কর্মসূচিতে ব্যাতয় ঘটানো হয়েছে। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বের হতে চাইলে ১০ থেকে ২০ জনকে আটক করে। একই সাথে বিএনপির কার্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ঘিরে রাখার কারনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। বের হলে আটক বা গ্রেপ্তার হবে এই ভয়ে কেউ বের হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ভেতরে যেসব নেতাকর্মী আছেন তারা সকলেই তাদের মামলায় জামিনে রয়েছে। কারো বিরুদ্ধে কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নাই। তারপর ও আমাদের হয়রানী করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানিয়েছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরাই অবরোদ্ধ হয়ে ছিলেন। পুলিশ তাদের কিছুই করেনি। এখন তারা অবরোদ্ধ হয়ে থাকলে পুলিশ কি করবে? মূলত অনেক লোকজন জড়ো হওয়ার কারনে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় এলাকায় অবস্থান করছিলো। যেন অপ্রীতিকর কোন পরিস্থিতি না হয়।