ইন্দ্রজিৎ কুমার দাশ || পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুরের ‘শহীদুল ইসলাম’ নামের এক চাষি কোরিয়ান তেলবীজ পেরিলার চাষ শুরু করেছেন। সূর্যমুখী সরিষার মতো পেরিলার বীজ থেকেও ভোজ্যতেল উৎপন্ন হয়। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ বলে তেলের বাজারে পেরিলার ব্যাপক চাহিদা। কোরিয়া থেকে আমদানি করা প্রতি লিটার ‘পেরিলা তেল’ বাংলাদেশের বাজারে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি পুষ্টিগুণের কারণে ধনী শ্রেণির মধ্যে এই তেলের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া পেরিলা চাষের জন্য উপযোগী। এ ফসল চাষে বাংলাদেশের চাষিরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন। এ ফসল চাষের উপযোগী সময় হলো জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। বীজ থেকে চারা তৈরি হতে মোট ২৮ দিন সময় লাগে। চারা রোপন করার ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়। চাষী শহীদুল ইসলামের নতুন জাতের এই ফসল দেখতে প্রতিদিন শতশত লোখ ভিড় জামাচ্ছে তার জমিতে।
পেরিলার বীজ পেলে স্থানীয় চাষিরা এর চাষাবাদ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের চাষিরা এখনো এই পেরিলার ফসলের সাথে পরিচিত নন।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত বিভাগেরর অধ্যাপক ড.এইচ.এম.তারিক হোসেন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২০০৭ সালে এই জাত সংগ্রহ করেন। পরে ২০২০ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড সাউথ কোরিয়ান ভ্যারাইটির সাউ পেরিলা-১ নামের জাতটি নিবন্ধন দেয় এবং স্থানীয় কৃষকদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। সাউথ কোরিয়ায় পেরিলার ব্যাপক বিস্তৃতি থাকার কারণে বিশ্বে এটি কোরিয়ান পেরিলা নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে পেরিলার আদি নিবাস চীন।